Bridha Pension West Bengal: রাজ্যের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য উৎসবের মরশুমে মিলল আনন্দের খবর।
পুজোর ছুটির পরে অফিস খুললেই, প্রায় ১.৫ লক্ষ নতুন উপভোক্তাকে বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে রাজ্য সরকার।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই নতুন ভাতা কারা পাবেন তা পুজোর আগেই করা সমীক্ষা অনুযায়ী ঠিক করা হয়েছে। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই নতুন এই উপভোক্তাদের বার্ধক্য ভাতার তালিকায় যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
‘জয় বাংলা’ প্রকল্প: এক ছাতার নিচে একাধিক সামাজিক সহায়তা (Bridha Pension West Bengal)
২০২১ সালে রাজ্যের তত্ত্বাবধানে থাকা বিভিন্ন সামাজিক সহায়তা প্রকল্পকে এক ছাতার নিচে এনে ‘জয় বাংলা’ প্রকল্প চালু করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভাতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেমন:
1.জয় জোহার
2.তফসিলি বন্ধু
3.বিধবা ভাতা
4.মানবিক ভাতা
5.ওল্ড এজ পেনশন (বার্ধক্য ভাতা)
6.বয়স্ক তাঁতিদের পেনশন
7.বয়স্ক শিল্পীদের পেনশন
8.প্রবীণ মৎস্যজীবীদের পেনশন
9.বয়স্ক কৃষকদের পেনশন।
প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক উপভোক্তাকে মাসিক ১,০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হয়। বর্তমানে রাজ্যের প্রায় ১ কোটি মানুষ এই ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন।
এর মধ্যে প্রায় ২০.১১ লক্ষ উপভোক্তা পঞ্চায়েত দপ্তরের মাধ্যমে বার্ধক্য, বিধবা ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য প্রাপ্য ভাতা পান।
আরও পড়ুন :- ই শ্রম কার্ডে মাসে ৩০০০ টাকা ভাতা দিচ্ছে, অনলাইনে আবেদন করুন
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ভাতার ভাগ
এই ভাতা প্রদানে কেন্দ্রীয় সরকারের অংশগ্রহণ খুব সীমিত। ন্যাশনাল সোশ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের (এনএসএপি) অধীনে রাজ্যগুলিকে একটি সামান্য অংশ দেয় কেন্দ্র।
বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রে ১,০০০ টাকার মধ্যে ৭০০ টাকা দেয় রাজ্য এবং মাত্র ৩০০ টাকা কেন্দ্র। তবে ৮০ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার মাসিক ৫০০ টাকা প্রদান করে।
প্রতি বছর এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের যাচাই করা হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা হয়, উপভোক্তারা এখনও জীবিত কি না বা অন্যত্র চলে গেছেন কি না।
গত বছরের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অনেক উপভোক্তা মারা গিয়েছেন বা অন্যত্র চলে গেছেন, যার ফলে প্রায় ১.৫ লক্ষ নতুন উপভোক্তাকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
পঞ্চায়েত মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার জনগণের কাছে প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করছে।
আমাদের লক্ষ্য হলো যত বেশি সংখ্যক মানুষকে সাহায্য করা, যাতে তারা এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারে।”
উপভোক্তাদের যাচাই প্রক্রিয়া
রাজ্যের একটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নতুন উপভোক্তাদের অন্তর্ভুক্তির জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপভোক্তাদের ছবি জিও ট্যাগিং করে যাচাই করা হয়েছে। এই যাচাইয়ের ভিত্তিতেই নতুন উপভোক্তাদের অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে।
এই সমীক্ষা এবং যাচাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পর, খুব শীঘ্রই প্রায় ১.৫ লক্ষ নতুন প্রবীণ নাগরিক বার্ধক্য ভাতার আওতায় আসবেন। রাজ্যের সরকার এই প্রকল্পকে কার্যকর করার জন্য দ্রুত কাজ করে চলেছে।
আরও পড়ুন :- ১৩ বছর পর শুরু জনগণনা , কি কি কাগজ লাগবে দেখুন |
আরও পড়ুন :- কৃষকদের ভাতা চালু, মাসে ১০০০ টাকা দিবে মমতা | ফর্ম জমা করুন