Lakhir Bhandar New Update: মহিলাদের ৬০ পার হলেই বার্ধক্য ভাতা, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর নতুন সুবিধা
রাজ্যের বহু মহিলার জন্য সুখবর। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের আওতায় থাকা মহিলারা ৬০ বছর বয়স অতিক্রম করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্ধক্য ভাতার আওতায় চলে আসেন।
এতে তাঁদের আলাদা করে আবেদন করার প্রয়োজন পড়ে না। বয়স পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাসে এক হাজার টাকা করে তাঁদের অ্যাকাউন্টে জমা হতে শুরু করে।
আয়ের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার উদ্যোগ
রাজ্য সরকার এবার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। যাঁরা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ থেকে বার্ধক্য ভাতার প্রকল্পে ‘মাইগ্রেট’ করবেন, তাঁদের জন্য মাসিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমার শর্ত আর বলবৎ রাখা হবে না (Lakhir Bhandar New Update) |
বর্তমানে ‘ওল্ড এজ পেনশন’ প্রকল্পে বার্ধক্য ভাতা পেতে উপভোক্তাদের মাসিক আয় এক হাজার টাকার নীচে হতে হয়। তবে এবার থেকে এই নিয়মের অবসান হতে চলেছে।
সূত্রের খবর, নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
অনুমোদন পাওয়া মাত্রই নতুন নিয়ম চালু হবে এবং এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হবে। এতে রাজ্যের কয়েক লক্ষ মহিলা উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পাশে ২২৪৮ শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ। Bpnl Recruitment 2024
বার্ধক্য ভাতার প্রকল্পগুলির একত্রীকরণ
রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের অধীনে বর্তমানে বার্ধক্য ভাতা প্রদান করা হয়।
১. নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তর: এই দপ্তর ‘ওল্ড এজ পেনশন’ প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে।
২. অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর: ‘জয় জোহার’ ও ‘তফসিলি বন্ধু’ প্রকল্প পরিচালিত হয় এই দপ্তরের মাধ্যমে।
৩. পঞ্চায়েত দপ্তর: বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের ভাতা প্রদান করে।
৪. কৃষি, পুর, তথ্য ও সংস্কৃতি এবং মৎস্য দপ্তর: এসব দপ্তরও বার্ধক্য ভাতা প্রদান করে।
২০২০ সালে রাজ্য সরকার বার্ধক্য ভাতা সংক্রান্ত সমস্ত প্রকল্পকে একত্রিত করে ‘জয় বাংলা’ নামে একটি ছাতার তলায় নিয়ে আসে। তবে ‘ওল্ড এজ পেনশন’-এর ক্ষেত্রে এখনও আয়ের সীমাবদ্ধতা কার্যকর রয়েছে।
কিন্তু ‘তফসিলি বন্ধু’ ও ‘জয় জোহার’ প্রকল্পে আয়ের কোনও শর্ত নেই। ফলে তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত যাঁরা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ পান, তাঁরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘তফসিলি বন্ধু’ বা ‘জয় জোহার’ প্রকল্পের আওতায় বার্ধক্য ভাতা পেয়ে থাকেন।
নতুন পদক্ষেপের গুরুত্ব
মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র মিললে আয়ের শর্ত তুলে দেওয়া হলে সমাজের আরও বৃহৎ অংশ বার্ধক্য ভাতার আওতায় আসবে।
বিশেষত, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর উপভোক্তারা এই নতুন নিয়মের সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হবেন। তাঁদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং আর্থিক সুরক্ষার পথে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা বহু মহিলার জীবনকে সুরক্ষিত করবে।
আরও পড়ুন: বাংলা আবাস যোজনার বাড়ির লিস্ট দেখুন | Bangla Awas Yojana List 2024
আরও পড়ুন: লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার | Lakhir Bhandar
টেলিগ্রাম গ্রুপ | জয়েন করুন |
হোয়াটস্যাপ চ্যানেল | জয়েন করুন |