Wednesday, March 12, 2025
Homeপ্রকল্পআবাসের টাকা এই নাম্বারে ফোন করলেই পাবেন

আবাসের টাকা এই নাম্বারে ফোন করলেই পাবেন

Bangla Awas Yojana Helpline Number: গ্রামীণ বাংলার জন্য নতুন টোল-ফ্রি হেল্পলাইন চালু করছে রাজ্য

গ্রামীণ বাংলার জন্য রাজ্য সরকারের ঐকান্তিক প্রয়াস

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে গৃহীত “বাংলার বাড়ি” প্রকল্পটি গ্রামীণ উন্নয়নের এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র একটি আর্থিক সহায়তার মাধ্যম নয়, বরং এটি গ্রামের মানুষের স্বপ্ন পূরণের পথে এক অগ্রণী প্রয়াস।

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উদ্দেশ্য

বাংলার গ্রামীণ অংশের মানুষের মাথা গোঁজার জন্য একটি স্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত করা। এই প্রকল্পে প্রতিটি পরিবারকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

দুটি কিস্তিতে এই টাকা প্রদান করা হবে। প্রথম কিস্তির ৬০,০০০ টাকা দেওয়ার পরে বাড়ি তৈরির নির্দিষ্ট অগ্রগতি দেখলেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে।

টোল-ফ্রি হেল্পলাইন: উপভোক্তাদের পাশে রাজ্য সরকার (Bangla Awas Yojana Helpline Number) :-

উপভোক্তাদের সুবিধার্থে নবান্ন একটি টোল-ফ্রি নম্বর চালু করেছে—১৮০০ ৮৮৯৯ ৪৫১। এই নম্বরে ফোন করে উপভোক্তারা তাঁদের অভিযোগ সরাসরি রাজ্য সরকারের কাছে জানাতে পারবেন।

এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইন ৯১৩৭০ ৯১৩৭০ এবং ইমারজেন্সি হেল্পলাইন ১১২ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।

আরও পড়ুন:- ২ কাঠা বিনামূল্যে জমি দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী, বাড়ি তৈরির জন্য | Bangla Awas Yojana

অভিযোগ জানানোর নতুন পদ্ধতি

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের জন্য পঞ্চায়েত দপ্তর একটি পাবলিক গ্রিভান্স পোর্টাল ও অ্যাপ চালু করেছে। এতে অনলাইনে লিখিত অভিযোগ বা ভয়েস রেকর্ড জমা দেওয়া যাবে।

পঞ্চায়েত দপ্তরের বিধাননগরের মৃত্তিকা ভবনে স্থাপন করা কন্ট্রোল রুমে ৩০টি ফোন কল পরিচালনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উন্নয়নের পরিসংখ্যান

এই প্রকল্পের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাজ্য সরকার ১৪,৭৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

ইতিমধ্যেই ১২ লক্ষ পরিবার প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন।

আরও ১৬ লক্ষ পরিবার এই আর্থিক সহায়তা পাবেন।

উপভোক্তাদের জন্য নির্দেশিকা

প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরির নির্ধারিত পর্যায় পূর্ণ করতে হবে। তারপরে বাড়ির উচ্চতা ও আয়তন সঠিক থাকলে দ্বিতীয় কিস্তি প্রদান করা হবে।

যদি কেউ উপভোক্তাদের টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেন, তাহলে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করার পাশাপাশি টোল-ফ্রি নম্বরে অভিযোগ জানানো যাবে।

উন্নয়নমূলক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি

বাংলার বাড়ি প্রকল্প শুধু আর্থিক সহায়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ বাংলার মানুষ নতুন করে তাঁদের জীবনযাত্রা গড়ে তুলতে পারছেন। রাজ্য সরকার তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

“বাংলার বাড়ি” প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গ্রামীণ উন্নয়নের এক যুগান্তকারী প্রয়াস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই প্রকল্পের সাফল্য গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত করবে এবং গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রায় গুণগত পরিবর্তন আনবে।

আরও পড়ুন:- বাংলার বাড়ির ফাইনাল লিস্ট কিভাবে দেখবেন, SMS পাঠাচ্ছে

আরও পড়ুন:- সুখবর: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বৃদ্ধ ভাতার টাকা সবাই পাবে , নিয়ম সহজ করা হল

Most Popular