Bangla Awas Yojana List 2025: ‘বাংলার বাড়ি’ নিয়ে মমতার নতুন ঘোষণা: দ্বিতীয় কিস্তির টাকা হাতে পাবেন কবে?
রাজ্যের প্রতিটি মানুষের মাথার উপর ছাদ দেওয়ার সংকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প এগোচ্ছে দ্রুতগতিতে।
এই প্রকল্পের অধীনে বিনামূল্যে বাড়ি তৈরির টাকার প্রথম কিস্তি ইতিমধ্যেই পেতে শুরু করেছেন উপভোক্তারা। রাজ্য সরকার থেকে ঘোষণা করা হয়েছে ১২ লক্ষ বাড়ির জন্য বরাদ্দ অর্থ।
তবে, সেই টাকা সত্যিই উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছেছে কি না, তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসনিক কর্তাদের কঠোর ভাবে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “দেখুন তো, কাজ শুরু হয়েছে কি না? এই টাকাটা রাজ্য সরকার দিচ্ছে। একে সঠিক কাজে ব্যবহার করতে হবে। কোনওভাবেই যেন অন্য খাতে এই টাকা চলে না যায়।”
টাকার দ্বিতীয় কিস্তি মে মাসে (Bangla Awas Yojana List 2025)
মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, মে মাসের মধ্যে উপভোক্তারা টাকার দ্বিতীয় কিস্তি পাবেন।
আরও ১৬ লক্ষ উপভোক্তার জন্য মে মাসে ৬০ হাজার টাকা এবং ডিসেম্বরেও ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। বাকি অর্থ মার্চের মধ্যেই উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার | Lakhir Bhandar
১০০ দিনের শ্রমিক দিয়ে কাজের নির্দেশ
পঞ্চায়েত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি (PHE), জনস্বাস্থ্য (PWD), সেচ বিভাগে এবং অন্যান্য কাজগুলো রাজ্যের ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের দিয়ে করানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
“আমাদের ১০০ দিনের শ্রমিকদের কাজ দিতে হবে। জল স্বপ্ন প্রকল্প ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যেই শেষ করতে হবে। এই প্রকল্পে কোনও বিলম্ব আমি বরদাস্ত করব না,” বলে কড়া বার্তা দেন তিনি।
শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি ও অভিযোগের সমাধান
‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে টাকা বণ্টনে কোনওরকম অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক কর্তাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে, উপভোক্তাদের কাছ থেকে কেউ যদি টাকা চায় বা কোনও অসুবিধা সৃষ্টি করে, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “প্রকল্পে কোনও গাফিলতি চলবে না। জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে।” এই প্রকল্প নিয়ে যেন কোনও অভিযোগ ওঠে না, তা নিশ্চিত করতে বর্তমানে সমীক্ষার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে (Bangla Awas Yojana List 2025)।
প্রকল্পে নজরদারি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার উল্লেখ করেছেন যে, এই প্রকল্পের কাজ রাজ্যের স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কাজের অগ্রগতি ও সঠিক বণ্টন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক কর্তাদের প্রতি সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মানুষকে নতুন ঘর উপহার দিয়ে সরকারের এই পদক্ষেপ যে একটি উল্লেখযোগ্য সামাজিক উদ্যোগ হয়ে উঠেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে, এর কার্যকরী রূপায়ণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা প্রশাসনকে আরও বেশি দায়িত্বশীল করে তুলবে বলে আশা করা যায়।
আরও পড়ুন: পিএসসি ক্লার্কশিপ আবেদন শুরু হচ্ছে, নতুন নোটিশ প্রকাশ
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভান্ডার ক্লাব শুরু । মাসে ১০০০,১২০০ টাকা দিবে
টেলিগ্রাম গ্রুপ | জয়েন করুন |
হোয়াটস্যাপ চ্যানেল | জয়েন করুন |