Farmer Id Card West Bengal: প্রত্যেক কৃষক পাবে ৬০০০ টাকা! বানিয়ে নিন ডিজিটাল কৃষক কার্ড
ভারতের কৃষি খাতে প্রযুক্তির নতুন সংযোজন হিসেবে আসছে ডিজিটাল কৃষক আইডি কার্ড (Farmer ID Card)।
এই আইডি কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা সহজেই সরকারি সুবিধা পেতে পারবেন, যার মধ্যে থাকবে ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (MSP), কৃষি ঋণ, ফসল বীমা, কৃষক ক্রেডিট কার্ড, এবং প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (PM-KISAN) প্রকল্পের সুবিধা।
Farmer Id Card West Bengal
একটি পরিচয়ে মিলবে সমস্ত সুবিধা
বর্তমানে কৃষকদের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে বিভিন্ন নথিপত্র জমা দিতে হয়। তবে Farmer ID Card চালু হলে কৃষকদের সমস্ত তথ্য একত্রিত হবে একটি কেন্দ্রীভূত ডাটাবেসে। ফলে সরকার দ্রুত কৃষকদের যাচাই করতে পারবে এবং কৃষকরাও সহজে সুবিধা পাবেন।
২০২৭ সালের মধ্যে ১১ কোটি কৃষক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের ১১ কোটি কৃষককে এই ডিজিটাল আইডির আওতায় আনা হবে। প্রতিটি কার্ড আধার নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে, যা কৃষকের জমির রেকর্ড, ফসলের তথ্য ও পশুসম্পদের তথ্য সংরক্ষণ করবে।
কৃষকদের জন্য ডিজিটাল পরিচয়পত্র কেন গুরুত্বপূর্ণ?
নতুন এই আইডি কার্ড কৃষকদের জন্য একাধিক সুবিধা আনবে:
সরকারি সুবিধা পাওয়া সহজ হবে – MSP, কৃষি ঋণ, বীমা, ও ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য আলাদা আলাদা নথিপত্র জমা দিতে হবে না।
কৃষি ঋণ ও ফসল বীমার আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত হবে – ব্যাংক ও বীমা সংস্থাগুলো সরাসরি কৃষকদের তথ্য যাচাই করতে পারবে।
সরকারি প্রকল্পের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া হবে ডিজিটাল – অনলাইনেই কৃষকরা সরকারি সহায়তা পেতে পারবেন।
কৃষকদের স্বীকৃত পরিচয়পত্র থাকবে – জমির রেকর্ড সংরক্ষিত থাকবে, যা ভবিষ্যতে কৃষি উন্নয়নে কাজে লাগবে।
কৃষক রেজিস্ট্রি: কৃষকদের জন্য ডিজিটাল ডাটাবেস
ডিজিটাল কৃষি মিশনের অন্যতম প্রধান অংশ হলো “কৃষক রেজিস্ট্রি”, যা “Agri Stack” নামে পরিচিত। এটি এমন একটি ডাটাবেস হবে, যেখানে প্রতিটি কৃষকের জমি, ফসল এবং সরকারি প্রকল্পের তথ্য থাকবে।
আরও পড়ুন:- সুখবর: ফসলের ক্ষতিপূরণের টাকা দিচ্ছে। আপনি কত টাকা পাবেন দেখুন
এই রেজিস্ট্রি কীভাবে কৃষকদের উপকার করবে?
1) সরকারি বাজার (eNAM)-এ সরাসরি ফসল বিক্রি করা যাবে
2) কৃষি ঋণ ও বীমার সুবিধা পাওয়া সহজ হবে
3) প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ দ্রুত পাওয়া যাবে
4) স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি ও সরকারি পরামর্শ সহজেই কৃষকদের কাছে পৌঁছাবে
পরিচয়পত্র তৈরির জন্য বিশেষ শিবির আয়োজন
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক রাজ্য সরকারগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে দ্রুত কৃষক আইডি কার্ড তৈরির জন্য বিশেষ শিবির আয়োজন করা হয়।
প্রতিটি শিবির পরিচালনার জন্য ১৫,০০০ টাকা অনুদান দেওয়া হবে।
প্রতিটি আইডি তৈরির জন্য ১০ টাকা করে প্রণোদনা দেওয়া হবে।
এই খরচ প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের বাজেট থেকে বরাদ্দ করা হবে।
কোন কোন রাজ্যে ইতিমধ্যেই প্রকল্প চালু হয়েছে?
এই প্রকল্প বর্তমানে গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে কার্যকর হয়েছে। অন্যদিকে, আসাম, ছত্তীসগড় ও ওড়িশায় এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (PM-KISAN) সুবিধা পেতে সহজ উপায়
যেসব কৃষক Farmer ID Card তৈরি করবেন, তারা প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (PM-KISAN) প্রকল্পের সুবিধা সহজেই পাবেন।
বছরে ৬০০০ টাকা সরাসরি কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
এই অর্থ তিন কিস্তিতে (২০০০ টাকা করে) প্রদান করা হবে।
কোনো মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই টাকা সরাসরি কৃষকদের হাতে পৌঁছাবে।
ডিজিটাল কৃষি ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়া
এই প্রকল্প শুধু একটি পরিচয়পত্র প্রদান নয়—এটি কৃষকদের ডিজিটাল ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হয়ে উঠবে। কৃষকদের জন্য সরকারি সুবিধা পাওয়া আরও সহজ হবে এবং তথ্যভিত্তিক উন্নত কৃষি নীতি প্রণয়ন সম্ভব হবে।
ডিজিটাল কৃষক পরিচয়পত্র চালুর মাধ্যমে ভারত এক নতুন কৃষি বিপ্লবের পথে হাঁটছে। সরকারের লক্ষ্য, ২০২৭ সালের মধ্যেই দেশের সব কৃষককে ডিজিটাল পরিচয়পত্রের আওতায় আনা এবং আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার সুবিধা পৌঁছে দেওয়া।
আপনি যদি কৃষক হন, তাহলে এখনই নিকটস্থ শিবিরে গিয়ে আপনার ডিজিটাল কৃষক আইডি কার্ড তৈরি করুন এবং সরকারি সুবিধাগুলি সহজে গ্রহণ করুন!
আরও পড়ুন:- সব কৃষকদের ১০০০০ টাকা দিবে, বাজেটে নতুন প্রকল্প ঘোষণা
আরও পড়ুন:- ফসলের ক্ষতিপূরনের টাকা না ঢুকলে এই নাম্বারে ফোন করুন, সবাই টাকা পাবেন
সমস্ত খবরের আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে আপনারা যুক্ত হয়ে যান নিচের লিংকে ক্লিক করে
টেলিগ্রাম গ্রুপ | জয়েন করুন |
হোয়াটস্যাপ চ্যানেল | জয়েন করুন |