Lakhir Bhandar Latest News: মহিলাদের জন্য সুখবর, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা!
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের তৃণমূল সরকার একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সমাদৃত প্রকল্পের নাম ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakshmir Bhandar)। এই প্রকল্প মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে, যা তাদের জীবনে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য এবং স্বনির্ভরতার সুযোগ এনে দিয়েছে।
আট থেকে আশি সকলের জন্য নানাবিধ প্রকল্প চালু থাকলেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি একটি আলাদা প্রভাব ফেলেছে, এবং মহিলাদের জীবনযাত্রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
প্রকল্পের সূচনা ও বর্তমান অবস্থা (Lakhir Bhandar Latest News)
২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের সূচনা করেন। শুরুর সময় রাজ্যের মহিলারা মাসিক পাঁচশো টাকা করে ভাতা পেতেন। এরপর প্রকল্পটির জনপ্রিয়তা ও চাহিদা বাড়তে থাকায় ভাতার পরিমাণও বৃদ্ধি করা হয়।
বর্তমানে তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত মহিলারা মাসে ১২০০ টাকা এবং সাধারণ সম্প্রদায় অর্থাৎ জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পাচ্ছেন।
অর্থনৈতিক সহায়তার মাধ্যমে অনেক মহিলাই স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। এই প্রকল্প তৃণমূলের ভোটব্যাংক শক্তিশালী করতে বড় ভূমিকা রাখছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
আরও পড়ুন:- দীপাবলির বোনাস: ৩০০০ টাকা দিচ্ছে সরকার, আবেদন করুন
ভাতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা
উৎসবের মৌসুমে শোনা যাচ্ছে, এই প্রকল্পের আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর কথা চিন্তা-ভাবনা চলছে। এই ভাতা বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত করা হতে পারে বলে গুজব রয়েছে, যা আরও মহিলাদের এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগ্রহ বাড়াবে।
যদিও সরকারিভাবে এখনও এই বিষয়ে কোনও ঘোষণা হয়নি, তবে ২০২৬ সালে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভাতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রকল্পের আবেদন প্রক্রিয়া
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদনকারিণীদের বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। আবেদনকারিণীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে এবং তার পরিবারকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম নিয়ে তা পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করতে হবে।
আবেদনের জন্য যা যা দরকার:
1) স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জেরক্স
2) আধার কার্ড
3) তপশিলি জাতি বা উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত হলে তার শংসাপত্র
4) রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি
5) পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার প্রমাণপত্র
এছাড়া, আবেদনকারিণী কোনও সরকারি চাকরি বা সংস্থা থেকে মাসমাইনে বা পেনশন না পান, সেই মর্মে একটি ঘোষণাপত্র দিতে হবে।
আবেদনের সব তথ্য সঠিক থাকলে এবং যাচাইয়ের পর, প্রকল্পের অর্থ সরাসরি আবেদনকারিণীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে।
মহিলাদের জন্য নতুন আশার দিগন্ত
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প শুধু অর্থনৈতিক সহায়তাই নয়, এটি রাজ্যের মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলার একটি প্রতিশ্রুতি।
বিশেষ করে গ্রামীণ এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে তাদের পরিবারকে আরও ভালোভাবে সাহায্য করতে সক্ষম হয়েছেন। এই প্রকল্প রাজ্যের মহিলাদের জীবনে এক নতুন আশার দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
আরও পড়ুন:- পশ্চিমবঙ্গের রোজকার মেলা শুরু, ৫১০০০ শুন্যপদে নিয়োগ | Rojgar Mela 2024
আরও পড়ুন:- লক্ষ্মীর ভান্ডার নতুন নিয়ম চালু, না মানলে টাকা বন্ধ। Lakhir Bhandar New Rules
টেলিগ্রাম গ্রুপ | জয়েন করুন |
হোয়াটস্যাপ চ্যানেল | জয়েন করুন |