Minimum Wages In India: আজ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন ন্যূনতম মজুরির হার চালু, জানুন বিস্তারিত
ভারত সরকার সম্প্রতি ২০২৫ সালের জন্য নতুন ন্যূনতম মজুরি হার ঘোষণা করেছে, যা আজ থেকে কার্যকর হয়েছে।
এই পদক্ষেপ লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের আয় বৃদ্ধি করবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়তা করবে।
Minimum Wages In India
ন্যূনতম মজুরি হল সেই সর্বনিম্ন পরিমাণ যা একজন নিয়োগকর্তা তার কর্মীকে কাজের বিনিময়ে প্রদান করতে বাধ্য।
ভারতে, এটি ১৯৪৮ সালের ন্যূনতম মজুরি আইনের অধীনে নির্ধারিত হয়, যা শ্রমিকদের শোষণ রোধ এবং তাদের ন্যূনতম জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে।
নতুন ন্যূনতম মজুরি হারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের উপর প্রভাব ফেলবে।
কৃষি খাতে, অদক্ষ শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫০ টাকা হয়েছে, যা প্রায় ১৫% বৃদ্ধি নির্দেশ করে। আধা-দক্ষ কর্মীদের জন্য দৈনিক মজুরি ৪০০ টাকা এবং দক্ষ কর্মীদের জন্য ৪৫০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।
নির্মাণ খাতে, অদক্ষ শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৪০০ টাকা, আধা-দক্ষ কর্মীদের জন্য ৪৫০ টাকা, দক্ষ কর্মীদের জন্য ৫০০ টাকা এবং অত্যন্ত দক্ষ কর্মীদের জন্য ৫৫০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।
আরও পড়ুন:- মাসে ৩০০০ টাকা ভাতা দিবে মোদী সরকার, অনলাইন আবেদন করুন
সেবা খাতে, অদক্ষ শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩৭৫ টাকা, আধা-দক্ষ কর্মীদের জন্য ৪২৫ টাকা এবং দক্ষ কর্মীদের জন্য ৪৭৫ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।
এই নতুন মজুরি হার বাস্তবায়নের ফলে শ্রমিকদের আয় বৃদ্ধি পাবে, যা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়তা করবে। উন্নত আয় শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা লাভে সহায়তা করবে, যা তাদের সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।
উচ্চ মজুরি শ্রমিকদের মনোবল বৃদ্ধি করবে এবং তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করবে।
নিয়োগকর্তাদের জন্য, মজুরি বৃদ্ধির ফলে খরচ বৃদ্ধি পাবে, তবে এটি কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে। ন্যায্য মজুরি নিয়োগকর্তা ও কর্মচারীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করতে সহায়তা করবে।
অর্থনীতির ক্ষেত্রে, শ্রমিকদের বর্ধিত আয় পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা বৃদ্ধি করবে, যা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে মজুরি বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতি ঘটাতে পারে।
ভারতে ন্যূনতম মজুরি আইনের ইতিহাস দীর্ঘ। ১৯৪৮ সালে ন্যূনতম মজুরি আইন পাস হয়, যা শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা এবং তাদের শোষণ রোধ করার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছিল।
১৯৫৭ সালে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা বোর্ড গঠিত হয়। ১৯৮৭ সালে জাতীয় ন্যূনতম মজুরির ধারণা চালু করা হয়। ২০১৯ সালে ন্যূনতম মজুরির বিধান অন্তর্ভুক্ত করে শ্রম কোড বিল চালু করা হয়।
ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের সময় জীবনযাত্রার খরচ, শ্রমিকের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা, মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি বিবেচনা করা হয়। এই নিয়মগুলি নিশ্চিত করে যে নির্ধারিত মজুরি ন্যায্য এবং বাস্তবসম্মত।
সর্বোপরি, ২০২৫ সালের নতুন ন্যূনতম মজুরি হার শ্রমিকদের অর্থনৈতিক কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আরও পড়ুন:- জমি-বাড়ির দলিল ডাউনলোড অনলাইন : Jomir Dolil Download
আরও পড়ুন:- অসংখ্য রেশন কার্ড বাতিল করবে সরকার, আপনার হবে কিনা জানুন
সমস্ত খবরের আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে আপনারা যুক্ত হয়ে যান নিচের লিংকে ক্লিক করে
টেলিগ্রাম গ্রুপ | জয়েন করুন |
হোয়াটস্যাপ চ্যানেল | জয়েন করুন |