Wb Electric Bill News: বাজেট পেশের পর এবার কমছে বিদ্যুতের দাম! মমতার ঘোষণায় জানুন দিনক্ষণ
পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্পায়নের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজ্য সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তারই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হলো দেউচা পাচামি কয়লা খনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যকে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে স্বনির্ভর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
Wb Electric Bill News
দেউচা পাচামির গুরুত্ব
দেউচা পাচামি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কয়লা খনি। এটি শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের নয়, ভারতের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এখানে বিশাল পরিমাণ কয়লা মজুত রয়েছে, যা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তবে রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমূল পরিবর্তন আসবে (ENERGY FUND)।
আরও পড়ুন:- মাসে ৯২৫০ টাকা পাবেন, নতুন প্রকল্প চালু সরকারের
এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে—
1) রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমবে
2) বিদ্যুতের দাম কমতে পারে
3) শিল্প বিকাশের নতুন সুযোগ তৈরি হবে
4) স্থানীয় কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বাড়বে
5) বিদ্যুৎ উৎপাদন ও দামের সম্ভাব্য পরিবর্তন
বর্তমানে বিদ্যুতের দাম নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব রাজ্যের হাতে নেই, বিশেষ করে বেসরকারি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে।
তবে সরকার যদি নিজস্ব কয়লা খনি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে, তাহলে উৎপাদন খরচ কমে যাবে, যা ভবিষ্যতে বিদ্যুতের দামও কমাতে পারে।
সরকারের মতে, দেউচা পাচামি থেকে উৎপন্ন কয়লা পরবর্তী ১০০ বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। এর ফলে রাজ্যবাসীকে লোডশেডিং বা বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা থেকে রক্ষা করা সম্ভব হতে পারে (best fund to invest now)।
কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের নতুন দিগন্ত
দেউচা পাচামি প্রকল্প কেবলমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেই নয়, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, এখানে প্রায় ১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
স্থানীয় মানুষদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যারা জমি দিয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি অনেককে হোমগার্ড ও অন্যান্য সরকারি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
এত বড় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে—
পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখা
জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা
প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা
তবে সরকার আশাবাদী যে, পরিকল্পনামাফিক কাজ এগোলে এই প্রকল্প আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাস্তবায়িত হবে।
দেউচা পাচামি শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশের বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠতে পারে।
সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই প্রকল্প রাজ্যের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করতে পারে, কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এখন দেখার বিষয়, কত দ্রুত এবং কার্যকরভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।
দিতে হবে না কারেন্ট এর বিল:-
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলির কথা ভেবে চালু করেছেন হাসির আলো প্রকল্প।
100 শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল মকুব করবে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিখরচায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে চলেছে রাজ্য। এর ফলে লক্ষাধিক পরিবার উপকৃতও হয়েছেন।
আপনি কি জানেন একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল সম্পূর্ণভাবে মকুব করে থাকে রাজ্য সরকার। তবে কারা পেয়ে থাকেন এই সুবিধা?
০.৩ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন গৃহস্থ বিদ্যুতের প্রতি তিন মাসের খরচ ৭৫ ইউনিট এর মধ্যে হলে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর বিদ্যুৎ খরচ সম্পূর্ণ ফ্রী।
তাই আপনার বিদ্যুৎ খরচ ৭৫ ইউনিট বা তার নীচে হলে আপনাকে বিদ্যুতের বিল দিতে হবে না। অর্থাৎ ৭৫ Unit পর্যন্ত বিদ্যুতের বিলে একশো শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেবে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন:- সব কৃষকরা ৬০০০ টাকা পাবে, কৃষকদের নতুন কার্ড চালু
আরও পড়ুন:- চিটফান্ডের টাকা কাদেরকে দিচ্ছে নামের লিস্ট ডাউনলোড করুন
সমস্ত খবরের আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে আপনারা যুক্ত হয়ে যান নিচের লিংকে ক্লিক করে
টেলিগ্রাম গ্রুপ | জয়েন করুন |
হোয়াটস্যাপ চ্যানেল | জয়েন করুন |