Bajaj Allianz Crop Insurance: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলে, কৃষকরা আর্থিকভাবে চরম সমস্যার সম্মুখীন হন।
এর মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার চালু করেছে বাংলার শস্য বীমা (Bangla Shasya Bima) প্রকল্প। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এই প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিপূরণ পান, যা সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ প্রিমিয়ামের দায়িত্ব নেয়, ফলে কৃষকদের জন্য এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
প্রকল্পের সুবিধা ও উদ্দেশ্য (Bajaj Allianz Crop Insurance):-
বাংলার শস্য বীমা প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করা। কৃষকরা তাদের জমিতে ফসলের ক্ষতি হলে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অর্থ পান।
ক্ষতির ধরন ও পরিমাণ অনুসারে এই অর্থ প্রদান করা হয়। এর মাধ্যমে কৃষকরা আর্থিক সুরক্ষা পান এবং ফসলের ক্ষতির জন্য বিশেষত শস্য ঋণের তীব্র চাপে পড়তে হয় না।
বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি ও কৃষকদের ক্ষতি
২০২৪ সালে নিম্নচাপের বৃষ্টি এবং ডিভিসি ছাড়া জল ছাড়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বহু অঞ্চল বন্যার কবলে পড়েছে। বন্যায় বিস্তীর্ণ কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তরবঙ্গের অনেক জায়গায় ভূমিধসের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
এই বন্যার কারণে কৃষকদের ব্যাপক ফসল ক্ষতি হয়েছে। কেন্দ্র সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারকে ৪৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, যা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তায় ব্যয় করা হবে।
ক্ষতিপূরণ পেতে কী করতে হবে?
বাংলার শস্য বীমা প্রকল্পের সুবিধা নিতে হলে কৃষকদের নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হয়। সেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত বা কৃষি দপ্তরে।
যারা ২০২৪ খারিফ মৌসুমে প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করেছেন, তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরাসরি ক্ষতিপূরণের অর্থ পাবেন। অনেক কৃষক ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণের অর্থ পেয়েছেন, বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের কৃষকরা।
আরও পড়ুন :- মাসে ৩০০০ টাকা ভাতা সব কৃষকদের দিচ্ছে | অনলাইনে আবেদন করুন
ক্ষতিপূরণের স্ট্যাটাস চেক করার পদ্ধতি
কৃষকরা তাদের ক্ষতিপূরণের স্ট্যাটাস জানতে পারবেন অনলাইনে:
১. অফিসিয়াল লিঙ্কে ক্লিক করে Bajaj Allianz এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে CLICK HERE।
২. “With Bank Details Search” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৩. সেখানে বছর, সিজন, রাজ্যের নাম, জেলার নাম, ব্লক, গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্যাংক এবং কৃষকের নাম ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে সার্চ করতে হবে।

৪. সার্চ করার পরে “Claim Details” ঘরে যে টাকার পরিমাণ দেখাবে, সেটাই কৃষক তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাবেন।

৫. যদি “Claims Under Process” লেখা থাকে, তবে অর্থ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং খুব শীঘ্রই পেয়ে যাবেন।

৬. আর “Claim Not Reported Yet” দেখালে, সেই কৃষক এই মুহূর্তে ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন না।

সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, বাংলার শস্য বীমা প্রকল্পের আবেদন প্রক্রিয়ার সময়সীমা 31 শে অক্টোবর 2024 পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যারা এখনও আবেদন করেননি, তারা দ্রুত ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে পারবেন।
বাংলার শস্য বীমা প্রকল্প কৃষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তার গ্যারান্টি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষতির কারণে যে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হয়, তার থেকে সুরক্ষা দিতে এই প্রকল্প কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
লিঙ্কসমূহ:
ফসলের ক্ষতিপূরণের টাকা চেক করার লিঙ্ক: এখানে হাত দিন (Click Here)
বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের ফর্ম ডাউনলোড করার লিঙ্ক:- এখানে ক্লিক করুন (CLICK HERE)
আরও পড়ুন :- কৃষক বন্ধু টাকা কবে ঢুকবে 2024 | Krishak Bandhu Taka Kobe Dibe
আরও পড়ুন :- ঘূর্ণিঝড় দানার জন্য সব কৃষকদের ক্ষতিপূরনের টাকা দিবে, ঘোষণা মমতার