Krishak Bandhu Taka: বাংলার কৃষকদের আর্থিক সহায়তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সৃষ্টি করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ২০২৪-২৫ রবি মরসুমের জন্য নতুন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Krishak Bandhu Taka
বাংলার কৃষকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) নতুন করে কি ঘোষণা করেছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেব এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে কৃষক-বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu Prakalpa) ২০২৪-২৫ বর্ষের রবি মরসুমের জন্য কিস্তির টাকা প্রদান করা হল কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের সংখ্যা বেড়ে এবার দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজারে।
এবার এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য মোট ২ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করল রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের বরাদ্দ করা টাকার পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য এই বছরে মোট ৫ হাজার ৮০০, ৫৯ কোটি টাকা সরকারের পক্ষ থেকে প্রদান করা হল।
২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ এর মধ্যে কৃষক, বর্গাদার, চাষি এবং ভাগ চাষিদের সর্বমোট ২১ হাজার ১৩৪ কোটি টাকার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
কৃষকবন্ধু প্রকল্পের জন্য কৃষকদের যে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় সেটা সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারই দেয়। কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা পায় না।
এই প্রকল্পের আওতাধীন কোনো কৃষকের যদি আকস্মিক মৃত্যু ঘটে তবে তার পরিবার এককালীন দুই লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা পাবে (Krishak Bandhu Death Benifit)।
আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শুরু হচ্ছে, কবে থেকে দেখুন | Duare Sarkar Date 2024
এখনো পর্যন্ত ১লক্ষ ২৭হাজার কৃষক পরিবারকে ২ হাজার ৫০০, ৪৪ কোটি টাকার বেশি সহায়তা প্রদান করেছে রাজ্য সরকার।
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে শস্য বীমায় প্রকল্পের (Bangla Shasya Bima) জন্য আগে কৃষকদের টাকা প্রদান করতে হতো। কিন্তু এখন কৃষকদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয় না সেই টাকা প্রদান করে রাজ্য সরকার।
মোট ১ কটি ২ লক্ষ কৃষককে বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে রাজ্য সরকার ৩ হাজার ২২১ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। এই টাকাটি রাজ্য সরকার তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে দিয়েছে।
বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে শস্যবীমায় নাম নথিভুক্ত করণের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আগে কৃষকদের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই শস্যবীমা প্রকল্পের নাম লেখাতে হতো। কিন্তু এখন সেই সময়সীমা বাড়িয়ে নভেম্বর করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে ৬৫ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে নিজেদের নাম তোলাতে পেরেছে। কৃষকদের কোনো অসুবিধা যাতেনা হয় সেই কারণে বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে এই শস্য বীমা প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণের কাজ করা হয়।
কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু :-
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ তারিখ নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করলেন কৃষক বন্ধু প্রকল্পের রবি সিজিনের টাকা দেওয়ার কথা।
তিনি বললেন ২২ তারিখ থেকে অর্থাৎ ২২ নভেম্বর থেকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের রবি সিজিনের টাকা কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে পাঠানো শুরু হবে ।
তবে আর একটি বিষয় মনে রাখতে হবে ২২ তারিখ থেকে টাকা পাঠানো শুরু হলেও কৃষকদের ব্যাঙ্কে টাকা সকলের ২২ তারিখে ঢুকবে না।
ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকতে কারো দু দিন, কারো সাত দিন, কারো দশ দিন বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: মাসে ১০০০ টাকা দিবে মমতা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পর নতুন প্রকল্প চালু
আরও পড়ুন: ১০০০ বদলে ১৮০০ টাকা দিবে, ভাতার টাকা বাড়ানো হল
টেলিগ্রাম গ্রুপ | জয়েন করুন |
হোয়াটস্যাপ চ্যানেল | জয়েন করুন |