Lakhir Bhandar Taka Kobe Dhukbe: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আরও ৫ লক্ষ মহিলা যুক্ত, মোট সংখ্যা ২.২১ কোটি
‘আগে মানুষ, পরে দল।’ এই আদর্শকেই সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও প্রমাণ করলেন, তাঁর প্রশাসনের মূল লক্ষ্য মানুষের কল্যাণ। রাজ্যের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি এই বার্তাই দিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর প্রাপকের সংখ্যা ইতিমধ্যেই রেকর্ড ছুঁয়েছে। এই মুহূর্তে এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন ২ কোটি ২১ লক্ষ মহিলা।
সম্প্রতি নতুন করে আরও ৫ লক্ষ ৭ হাজার মহিলা যুক্ত হয়েছেন। এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, এবং আরও ৬২৫ কোটি টাকা খরচ হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলেন, “ভোটের সময় টাকা দেওয়া শুরু করে অনেকে, তবে তাতে বিধিনিষেধ থাকে।
বাংলার প্রকল্পে কোনও রকম বৈষম্য নেই। বাংলার প্রতিটি মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পান। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার একসময় বার্ধক্যভাতা হিসেবে পরিণত হয়।”
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে নতুন দিশা
মাটির বাড়ির সংখ্যা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, রাজ্যে বর্তমানে ৩৬ লক্ষ মাটির বাড়ি রয়েছে। ইটের দেওয়াল থাকলেই যেসব বাড়িকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, তা দুঃখজনক।
এদিন তিনি ১২ লক্ষ নতুন বাড়ি তৈরির ঘোষণা করেন। এর মধ্যে উপভোক্তারা ১৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা পাবেন। বাকি ২৪ লক্ষ পরিবার পরবর্তী পর্যায়ে সুবিধা পাবে।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “সব কাজ আমরা করব, আর নাম বসবে প্রধানমন্ত্রীর—এটা চলবে না। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে কোনও কেন্দ্রীয় অনুদান নেই, তাই এখানে প্রধানমন্ত্রীর নামও থাকবে না।”
আরও জনমুখী প্রকল্প
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে ২০ লক্ষ ৩২ হাজার স্বামীহারা মহিলাকে ভাতা দেওয়া হয়। নতুন করে আরও ৪৩ হাজার ৯০০ জন এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এছাড়া ১৯ হাজারের বেশি বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিকে মানবিক ভাতা দেওয়া হয়, যা আগামীতে আরও বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন :- মাসে ৩০০০ টাকা ভাতা সব কৃষকদের দিচ্ছে | অনলাইনে আবেদন করুন
নেত্রীর বার্তা: কাজই পরিচয়
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নিষ্ঠা এবং সততা নিয়েও কথা বলেন। “সরকারি কাজ করতে গিয়ে আমি এক পয়সাও নিইনি। প্রয়োজনে মানুষের কাছে আঁচল পেতে দেব, কিন্তু অন্যায় কোনওভাবেই মেনে নেব না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি চাই, আমার মৃত্যুর পরও যেন কোনও স্ট্যাচু না বসে। আমার কাজই আমার পরিচয়। আগে মানুষ, তারপর দল।”
উন্নয়ন ও দায়বদ্ধতা—এই দুই মূলনীতিতে অনড় থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছেন।
তাঁর কথায়, “মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে কোনও দলীয় পরিচয়ের প্রয়োজন হয় না। আমার সরকার সেই কাজ করে যাবে।”
এভাবেই তিনি একদিকে রাজ্যের উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছেন, অন্যদিকে সমালোচকদের প্রশ্নের সামনে রেখে জনগণের কাছে তাঁর দায়বদ্ধতা ও অঙ্গীকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন।
ডিসেম্বর মাসে কবে টাকা দেবে (Lakhir Bhandar Taka Kobe Dhukbe):-
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ডিসেম্বর মাসে টাকা দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ।
যদি আপনারা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক করেন দেখতে পাবেন মাসের ঘরে ডিসেম্বর লেখাটা চলে এসেছে এবং পেমেন্ট স্ট্যাটাসের ঘরে পেমেন্ট আন্ডার প্রসেস (Payment Under Process) লেখাটা চলে এসেছে |
সেই কারণে এই ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখের মধ্যেই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা নতুন ও পুরোনো সবাই আপনারা ব্যাংকে পেয়ে যাবেন |
বৃদ্ধ ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, জয় জোহার, তপশিলি বন্ধু এই সকল ভাতা প্রকল্পের টাকা এই ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আপনারা ব্যাংক একাউন্টে পেয়ে যাবেন
আরও পড়ুন :- ১০০০ বদলে ১৮০০ টাকা দিবে, ভাতার টাকা বাড়ানো হল
আরও পড়ুন :- ১৪ বছর পর শুরু ভারতের জনগণনা, কি প্রশ্ন করবে, কি কাগজ লাগবে ?
টেলিগ্রাম গ্রুপ | জয়েন করুন |
হোয়াটস্যাপ চ্যানেল | জয়েন করুন |