Jai Johar Scheme In West Bengal: ১০০০ নয়, এবার ১৮০০! এই প্রকল্পে নতুন দিগন্ত
পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যবাসীর সুবিধা ও কল্যাণার্থে একাধিক প্রকল্প চালু করছে। এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে বেশ কিছুতে রাজ্য সরাসরি ভাতা প্রদান করে থাকে।
এভাবেই আরও এক নতুন স্কিমে বরাদ্দ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই সুখবর তিনি শুক্রবার প্রকাশ করেন।
কোন প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়ানো হলো?
সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেখানে তিনি জানিয়েছেন যে, জনজাতি গোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার নানা প্রকল্প ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শুক্রবার বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি আরও বড় ঘোষণা করেন।
আদিবাসী উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ
গতকাল বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে নিউ টাউনের আদিবাসী ভবন প্রাঙ্গণে এক সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মমতা।
অনুষ্ঠানে তিনি জানালেন, “আদিবাসী উন্নয়ন খাতে এবার বাজেট বরাদ্দও অনেকখানি বৃদ্ধি পাবে।”
আরও পড়ুন:- কৃষকবন্ধুদের টাকা বাড়ানো হল, চাষিদের জন্য সুখবর | Krishak Bandhu Taka
জয় জোহর প্রকল্পে বৃদ্ধি (Jai Johar Scheme In West Bengal Amount Increse) :-
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘জয় জোহর প্রকল্পে’ পেনশন গ্রাহকদের বরাদ্দ এবার ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০০ টাকা করা হবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে পেনশনগ্রহণকারী জনজাতি সদস্যদের আর্থিক সাহায্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন হস্টেলের ঘোষণা
জনজাতি গোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৩১০টি নতুন হস্টেল তৈরি করার ঘোষণা মমতা দেন। এতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের আবাসনের সমস্যা কিছুটা হলেও সমাধান হবে এবং তারা আরও উন্নত পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারবে।
বৈঠকের সম্ভাবনা ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ
রিপোর্ট অনুযায়ী, জনজাতি উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে মমতা সরকার বৈঠক করেছেন। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ‘ট্রাইবাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল’এর বৈঠক আগামী সোমবার হতে পারে বলে প্রশাসনিক সূত্র দাবি করেছেন।
জনজাতি কল্যাণে সরকারের প্রাধান্য
মমতা বলেন, তাঁর সরকার বরাবর জনজাতি কল্যাণে প্রাধান্য দিয়েছে। তিনি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করেন, তাঁদের হাতে এদিন ধামসা, মাদল তুলে দেন এবং নাচের তালে পা-মেলান।
এই মাধ্যমে সরকারের নীতি ও প্রকল্পগুলো জনজাতি সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ক্রীড়াক্ষেত্রে জনজাতির অবদান
গতকালের অনুষ্ঠানে মমতা জনজাতি গোষ্ঠীর ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদানের কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “গর্ব করে একথা বলতে পারি, আগামী দিনে এরা অলিম্পিক জিতবে।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে মমতা জনজাতি যুবকদের ক্রীড়ায় উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার সরকারের এই উদ্যোগগুলো আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই পদক্ষেপ জনজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে আশার আলো জ্বালিয়েছে।
আরও পড়ুন:- কৃষক বন্ধু টাকা কবে ঢুকবে 2024 | Krishak Bandhu Taka Kobe Dibe
আরও পড়ুন:- আবাস যোজনার সুপার চেকিং শুরু, আসবে উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা
টেলিগ্রাম গ্রুপ | জয়েন করুন |
হোয়াটস্যাপ চ্যানেল | জয়েন করুন |