Job Card Payment: ১০০ দিনের অর্থ আটকে রাখা চলবে না, অর্থ অবিলম্বে মেটানোর নির্দেশ আদালতের
চার বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের বকেয়া টাকা কেন্দ্র না দেওয়ায় এবার সরব হল কলকাতা হাই কোর্ট।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালী চট্টোপ্যাধ্যায় দাসের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়—এই প্রকল্পের আওতায় থাকা মানুষের অধিকার খর্ব করা যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে টাকা ছাড়ের নির্দেশ দেয় আদালত।
আদালতের মতে, দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে তার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক, কেন্দ্রীয় সংস্থা পদক্ষেপ করুক—কিন্তু সেই অজুহাতে প্রকল্পের প্রকৃত উপভোক্তাদের সুবিধা আটকে রাখা সংবিধানবিরুদ্ধ। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারকেও তাদের অংশের আর্থিক অবদান নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
Job Card Payment
আরও পড়ুন:- আর লাগবে না আধার কার্ড, নতুন অ্যাপ চালু সরকারের
এই মামলায় দুটি পৃথক জনস্বার্থ মামলা দাখিল হয়েছিল হাই কোর্টে। একটি দায়ের করে পশ্চিমবঙ্গ খেত মজদুর সমিতি এবং অপরটি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একদিকে যেখানে বকেয়া অর্থ না মেটানোর প্রতিবাদ তোলা হয়, অন্যদিকে প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়।
এই দুর্নীতির তদন্তে হাই কোর্ট একটি চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে, যার নেতৃত্বে ছিলেন এক জন নোডাল অফিসার। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মালদা এবং দার্জিলিং জেলায় মোট ২ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা অনিয়মের মাধ্যমে বরাদ্দ করা হয়েছিল, যা পরে উদ্ধারে সক্ষম হয় তদন্ত কমিটি।
কেন্দ্রের দাবি, দুর্নীতির পরিমাণ আরও বেশি—মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা, যার একটি বড় অংশ এখনও ফেরত আসেনি।
এই অবস্থায়, আদালত প্রশ্ন তোলে—দুর্নীতি যেখানে প্রমাণিত, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? এবং যাঁরা প্রকৃত উপভোক্তা, তাঁদের কেন এখনও টাকা দেওয়া হচ্ছে না? এ নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শুনানিতে রাজ্যের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের ‘অহংকারী মনোভাব’ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলেন।
তিনি জানান, তিন বছর পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্র কোনও প্রস্তাব গ্রহণ করছে না এবং রাজ্যের একাধিক প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ রাখা হচ্ছে। পাল্টা বক্তব্যে মামলাকারী সংস্থার পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এই কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্বের বলি হচ্ছেন সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ।”
মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ মে ধার্য করেছে আদালত। তার আগেই কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় তথ্য-সহ ব্যাখ্যা দিতে হবে—কেন প্রকৃত প্রাপকদের ন্যায্য টাকা এখনও আটকে আছে।
আরও পড়ুন:- ওয়াকফ আইন কি? নতুন আইন পাস হল : Waqf Amendment Bill 2025
আরও পড়ুন:- বৃদ্ধ ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা বন্ধ হবে এই কাজটি না করলে, Old Age Pension Life Certificate
টেলিগ্রাম গ্রুপ | জয়েন করুন |
হোয়াটস্যাপ চ্যানেল | জয়েন করুন |