পশ্চিমবঙ্গ সরকার পুজোর আগে রাজ্যের প্রায় ১৬ লক্ষ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীকে ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে ট্যাব কেনার জন্য (Taber Taka Kobe Pabo)।
‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে বলে বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর জানিয়েছে।
৪ঠা অক্টোবর অর্থাৎ শুক্রবার বিকেল থেকেই অর্থ পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এবং পুজোর আগে পুরো টাকা জমা দেওয়ার কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।
২০২১ সালে করোনা অতিমারির সময় রাজ্য সরকার এই প্রকল্প চালু করেছিল, এবং প্রতি বছর ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ১০ হাজার টাকা দেওয়া হতো।
তবে এই বছর, প্রশাসনিক কারণে বিলি প্রক্রিয়া স্থগিত থাকায় এক মাস পরে তা শুরু হচ্ছে। এবারের নতুনত্ব হল, শুধু দ্বাদশ নয়, একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারাও এই টাকা পাচ্ছে। তার জন্য ৯০০ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে বাজেটে।
আরও পড়ুন: ই শ্রম কার্ড থাকলে ৩০০০ টাকা মাসে পেনশন দিচ্ছে মোদী| E Shram Card 3000 Pension
টাকা কবে ঢুকবে (Taber Taka Kobe Pabo)?
ইতিমধ্যেই টাকা ব্যাংক একাউন্টে অনেকেরই ঢোকা শুরু হয়ে গিয়েছে ৫ অক্টোবর বিকেল থেকে । তবে অনেক ছাত্রছাত্রী এখনো তাদের ব্যাংকে টাকা পাননি ।
তাদের চিন্তা করার কিছু নেই শিক্ষা দপ্তর চেষ্টা করছে দুর্গাপূজা শুরুর আগেই সবার ব্যাংকে টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার ।
যেহেতু একসঙ্গে অনেক ছাত্রছাত্রী টাকা পাবে তাই সবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছাতে একটু সময় লাগছে।
তবে চিন্তার কিছু নেই দুর্গাপূজার আগেই দু-তিন দিনের মধ্যেই যাদের টাকা ঢোকেনি সকলেই ব্যাংক একাউন্টে ১০০০০ টাকা পেয়ে যাবেন
প্রকল্পের বিলম্ব এবং বিতর্ক :-
প্রথমে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে এই টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও, প্রশাসনিক কারণে শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়। তবে, কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই এক মাস পরে এই বিলি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের এক কর্মকর্তা জানান, “প্রশাসনিক জটিলতা কাটিয়ে পুজোর আগেই ছাত্রছাত্রীদের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল মনে করেন, এই ট্যাব কেনার প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বলেন, “১৬০০ কোটি টাকা দিয়ে বিদ্যালয় শিক্ষার উন্নয়ন করা যেত। এই অর্থের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না।”
অন্যদিকে, শিক্ষকদের একাংশ মনে করেন, এই প্রকল্প ছাত্রছাত্রীদের জন্য ইতিবাচক হতে পারে, তবে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে যাতে ছাত্রছাত্রীরা ট্যাব কেনার জন্য প্রাপ্ত অর্থের সঠিক ব্যবহার করে (taber taka kobe pabo)।
ট্যাব কেনার সুযোগ, কিন্তু নজরদারি প্রয়োজন :-
বাঙুর ইনস্টিটিউশন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “ছাত্রছাত্রীরা খুশি হবে, কিন্তু অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে যে তারা সঠিক জিনিস কিনছে এবং তা লেখাপড়ার জন্য যথাযথভাবে ব্যবহার করছে কিনা।”
রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ শিক্ষার ডিজিটাল অবকাঠামোকে আরও মজবুত করতে সাহায্য করতে পারে, তবে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: Pm kisan টাকা ৬০০০ বদলে ১০০০০ টাকা হবে, বড়ো ঘোষণা সরকারের
আরও পড়ুন: পুজোতে টাকার চিন্তা নয়! আবেদন করুন এই প্রকল্পে! Pm Mudra Loan
টেলিগ্রাম গ্রুপ | জয়েন করুন |
হোয়াটস্যাপ চ্যানেল | জয়েন করুন |