Wb Khajna Online Payment: রাজ্য সরকার দু’বছর আগেই অনলাইনে খাজনা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছিল।
বর্তমানে, শুধুমাত্র অনলাইন পদ্ধতিতেই খাজনা জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নাগরিকরা কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করে বাড়িতে বসেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। তবে, এখন এই প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হয়েছে।
আগে জমির মালিকের ই-মেল আইডি থাকা জরুরি ছিল, কারণ ই-মেলের মাধ্যমে ওটিপি পাঠিয়ে যাচাই করা হতো।
ই-মেলের পাশাপাশি মোবাইল ফোনেও ওটিপি পাঠানো হতো। কিন্তু অনেকেই ই-মেল ব্যবহারে দক্ষ নন বলে, এই প্রক্রিয়াটি ঝামেলাপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন শুধুমাত্র মোবাইল ফোনেই ওটিপি পাঠিয়ে যাচাই সম্পন্ন হবে।
নতুন নিয়ম চালু (Wb Khajna Online Payment):
গত বুধবার থেকে এই নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। প্রশাসনের মতে, দালাল চক্র ভাঙার উদ্দেশ্যেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জমির মালিকের মোবাইল ফোনে ওটিপি পাঠিয়ে যাচাই করলে পুরো প্রক্রিয়াটি আরও স্বচ্ছ হবে।
অনলাইনে খাজনা জমা দেওয়ার সুবিধা:
রাজ্য সরকার নাগরিকদের স্বচ্ছ পরিষেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে একাধিক অনলাইন সেবা চালু করেছে। অনলাইনে খাজনা জমা দেওয়ার ব্যবস্থাও তারই অংশ।
তবে, কৃষিজমির ক্ষেত্রে ২০১৭ সাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খাজনা ও সেস মকুব করার সিদ্ধান্ত নেন। তাই শুধুমাত্র কৃষিকাজ ছাড়া অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত জমির খাজনা জমা দিতে হয়।
কীভাবে অনলাইনে খাজনা জমা দেবেন:
ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তরের পোর্টালে গিয়ে জমির মালিকের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি দিয়ে ওটিপি যাচাই করতে হয়।
এরপর জমির খতিয়ান নম্বর ও দাগ নম্বর নির্বাচন করলে, বকেয়া খাজনার পরিমাণ স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয়। অনলাইনেই সেই টাকা জমা দেওয়া যায়। খুব সহজেই অনলাইনেই খাজনা মিটিয়ে দেওয়া সম্ভব।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে প্রায় ৫৮ কোটি টাকা খাজনা জমা করেছেন।
নতুন নিয়মে নাগরিকদের অফিসে না গিয়েও খাজনা জমা দেওয়ার সুবিধা থাকায় প্রক্রিয়াটি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন:- মাসে ৩০০০ টাকা কৃষকদের দিবে, অনলাইনে আবেদন করুন| Pm Kisan Mandhan Yojana
আরও পড়ুন:- কৃষক বন্ধু টাকা কবে ঢুকবে 2024 | Krishak Bandhu Taka Kobe Dhukbe
Official Website: Click here